সর্বশেষ
আপনারা দেখছেন Insight Narayanganj-এর Beta Version

ফের সমালোচনায় অনা মেম্বার, ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়!

ফতুল্লার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফেরদৌস আরা অনা। ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হন। ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এবার তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন ফতুল্লার ৪নং ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি ৪নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার হওয়ায় এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ পেলেও এখনো পর্যন্ত লালপুরে কী করেছেন, সেই প্রশ্ন তুলে একটি পোস্ট করেন আব্দুল্লাহ আল আকাশ নামে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী। তার এই পোস্টটি মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পরে। এতে লালপুরসহ ফতুল্লার বিভিন্ন নেটিজেনরা অনার কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।


আব্দুল্লাহ আল আকাশের ওই ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো; ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে শপথ গ্রহণ থেকে বর্তমান ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফেরদৌস আরা অনা মেডাম সর্বনিম্ন “৪০ টা প্রোজেক্ট পেয়েছে”। ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডে ভাগ করে কাজ করলে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৩/১৪ টা কাজ হবে, তাহলে ৪নং ওয়ার্ডের ১৩/১৪ টা কাজ কোথায়? আপনি আসেন ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা বা ‘ভোটারদের দেখিয়ে দিয়ে যান’ আপনি কোথায় কোন কাজটি করেছেন!


পোস্টটি প্রচারের পর ব্যপক তোলপাড় শুরু হয়। সেখানে লালপুর সহ ফতুল্লার বাসিন্দারা অনা মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে তার কর্মকাণ্ডে হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।


এর মধ্যে রায়হান কবীর রানা নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার মন্তব্যে লিখেন, “এমন জনপ্রতিনিধি থাকা আর না থাকা একই কথা।


দেলোয়ার হোসেন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার মন্তব্যে লিখেন, “ভোটের সময় ভাই ভাই, চিনির সময় আমরা নাই।”


শাহ দেলোয়ার নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তার মন্তব্যে লিখেন, “সব বাটপারি।”


আরিফ আফসান রাজ নামে এক ব্যক্তি তার মন্তব্যে লিখেন, “আমাদের এলাকার জন্য উনি কি কি কাজ করেছেন বা কি কি বরাদ্ধ হয়েছে, সকল কিছুর হিসাব উনার দেওয়া উচিত! ভোটের সময় এসে যেমন চষে বেরিয়েছে এলাকা, এখনো এলাকা ঘুরে যাক, দেখায়া যাক কি কি কাজ উনি করেছেন এলাকার জন্য!”


এদিকে, ফতুল্লার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফেরদৌস আরা অনা ৪নং ওয়ার্ডে আদৌ কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করেছেন কিনা, কিংবা তার কাছে নেটিজেনদের এসকল প্রশ্ন ও সমালোচনার সঠিক কোনো জবাব রয়েছে কিনা, তা জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমালোচনার বিপরিতে কোনো বক্তব্য বা জবাব পাওয়া যায়নি।


অভিযোগ রয়েছে, তিনি ফতুল্লার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হলেও ৪নং ওয়ার্ডের লালপুর সহ আশপাশের এলাকায় উন্নয়ন কাজ তো দূরের কথা সেসকল এলাকায় তেমন পরিদর্শনেও যাননি। তবে ভোটের সময়ে এসকল এলাকা তিনি চষে বেড়িয়েছিলেন, মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট টেনে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে তাকে আর সেসকল এলাকায় দেখা যায়নি। তাছাড়া, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের ফান্ড পেলেও তা লালপুর কিংবা আশপাশের এলাকার কোনো কাজে ব্যায় করেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেরদৌস আরা অনা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই ফতুল্লার ইসদাইরে অবৈধ মেলা বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সেই অবৈধ মেলা শেষ পর্যায়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন