গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক ভাবে যেই সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন, তা চূড়ান্ত তালিকা নয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
তিনি বলেছেন, ‘এটি সম্ভাব্য এবং প্রাথমিক তালিকা। এটি চূড়ান্ত নয়। মনোনয়নের তালিকা যখন যখন চূড়ান্ত হবে এবং দল যাকেই যে আসনে চূড়ান্ত ভাবে মনোনিত করবে এবং নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের যাকেই দেওয়া হবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করতে ঝাঁপিয়ে পড়বো। দলের সিদ্ধান্তের প্রশ্নে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ বা দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না। কিন্তু এই প্রাথমিক তালিকাকে যারা চূড়ান্ত মনোনয়ন হিসাবে দাবি করছেন, তাদেরকে বলে দিতে চাই, যখনই এই তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল তখনই কিন্তু বলা হয়েছিল এই তালিকা চূড়ান্ত তালিকা নয়। সুতরাং আজকের এই সভা থেকে আমি মহানগর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে বলে দিতে চাই। আমরা কিন্তু দলের পক্ষে আছি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে আছি। আর আগামী নির্বাচনে আমরা আমাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করবো।’
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি পূর্বে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল চারটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে থেকে এই বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নম্বর রেলগেইট গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, আজকের এই দিনে গভীরভাবে স্মরণ করছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর দেশি-বিদেশি সকল চক্রান্তকে ধুলিস্যাৎ করে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজকের এই দিনে আমাদের সবার অঙ্গীকার হবে সিপাহী বিপ্লব ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বৃত্ত হয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে সারা বাংলাদেশে ধানের শীষকে বিজয় করবেন ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
