বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অশালিন মন্তব্য করা আজহারুল ইসলাম মান্নানের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের অধিনস্থ সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্লোগাণ ধরেন তারা। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ছিলো মান্নান বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলাদলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা। বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীরা মান্নানের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিয়ে মহাসড়কে মিছিল করেন।
এদিকে, মান্নানকে নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠা নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিরূপ মন্তব্য এবং অশোভন আচরণ করেছেন। পরে মান্নানের সেই অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।’
তারা আরও বলেন, মান্নানের এই বিতর্কিত মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাদের দাবি, দলের জন্য ক্ষতিকারক এই ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল করে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতাদের মধ্য থেকে সুশিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রার্থিতা বাতিলসহ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
বক্তারা বলেন, ‘মান্নানের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য যদিও হন, তাহলে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন কি করে! তাছাড়া সংসদ সদস্য মানে হলো আইন প্রনেতা। যার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, সেই ব্যক্তি আইন প্রণেতা হিসেবে কিভাবে ভূমিকা রাখবেন? এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতাসহ সার্বিক ক্ষেত্রেই অবস্থান সম্পন্ন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেয়া হলে ধানের শীষের বিজয় যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই এখানকার ভোটাররাও উপকৃত হবে।’
