নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ১২ ঘণ্টায় (অর্ধবেলা) অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, জেলার সাতটি থানা এলাকায় একযোগে এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ২৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগের ৩৬ ঘণ্টায় একই অভিযানের অংশ হিসেবে আরও ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া কিছু ককটেল, পেট্রোল ও বিস্ফোরক দ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। নগরীর দোকানপাট, বিপণিবিতান ও অফিসগুলো নির্ধারিত সময়েই খোলা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক, যদিও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে অন্তত ২৬টি তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।”
