নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। গত ১৫ বছর তিনি এদেশের মানুষকে হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতন করেছেন। বিশেষ করে গত বছরের জুলাই বিপ্লবের সময় দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও ৩০ হাজারকে আহত করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি বিচার ও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে ভয় পান। দেশের আইন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শেখ হাসিনা বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের জনগণের সুখ-শান্তি কেড়ে নিতে তিনি মরিয়া। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়েছে, নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের ফাঁদে পা দেয়নি। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে আজ রাজপথে কাউকেই দেখা যায়নি। এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনে সাড়া দেয়নি। আজ রাজপথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ- কেউ নেই, শেখ হাসিনার কোনো প্রেতাত্মাও দেখা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচি প্রতিহত করতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আয়োজনে শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘যদি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কাউকে পাওয়া যায়, তাঁকে ধরে পুলিশে দিন। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবো। যারা জুলাই আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিল, আমরা তাদের পাশে আছি। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যারা অরাজকতা করবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আমরা দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করব। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করবো ইনশাল্লাহ।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সদস্য বরকত উল্লাহ মাকিত মোস্তাকিম শিপল, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল-আরিফ, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাজী জুয়েল হাসান নাঈম, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুল, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক দলের নেতা মনির হোসেন প্রমুখ।
